একজন ব্যক্তি ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। কিন্তু সুদ, ঘুষ সবই খান, চরিত্রও খারাপ এতে কি তার নামাজ হবে?
সালাম নিবেন। আল্লাহ মানুষকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন উনার ইবাদৎ করার জন্য।ইবাদৎ করা আর পৃথিবীতে পরীক্ষা দেয়া একই কথা। আল্লাহ একই কথা, দুই ভাবে বলেছেন। ইবাদতের অর্থ হচ্ছে, আল্লাহ যেটা করতে বলেছেন সেটা করা, আর যেটা নিষেধ করেছেন, সেটা না করা। পৃথিবীটা পরীক্ষার এটাও কুরআনের আয়াত। এখন পরীক্ষার হলে আপনি খাতায় যাই লিখেন না কেন, আপনাকে কেউ নিষেধ করবে না। রেজাল্ট বের হবার পর বুঝা যাবে কে পাস/ফেল করলো। আল্লাহ নিজে পবিত্র তিনি নিজে অপবিত্র কোন জিনিসই গ্রহন করবেন না। সমস্ত নবী-রাসুলরা কি হারাম হালাল মেনে চলেননি? তাহলে সেটাই তো, আল্লাহর পথ।সমস্ত কুরআনে তো এটাই আছে তোমরা সুদ,অবৈধ উপার্জনসহ সমস্ত খারাপ কাজ থেকে দূরে থাক। হাদীসে আছে অবৈধ আয়ের সাথে জড়িত থাকলে মহান আল্লাহ তার দুয়া/কোন ইবাদৎ কবুল করবেন না। অবৈধ আয় যদি ঠিক হোত তাহলে, মানুষের জীবন পৃথিবীতে অত্যন্ত সহজ হয়ে যেত। আর এত সহজ জীবনের জন্য আল্লাহ আপনাকে জান্নাত দিতেন না। পথ অত্যন্ত কঠিন বলেই, আল্লাহ জান্নাতের ওয়াদা করেছেন।কিছু মানুষকে দেখবেন, চাকুরীতে এরা বহু টাকা অবৈধ ভাবে আয় করতে পারে।কিন্তু অবৈধ কোন টাকাই এরা গ্রহন করেনা।এদের দুনিয়ার জীবন অত্যন্ত কঠিন। ধন্যবাদ